সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীকে ২ বছরেরর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এই রায় দেন।
মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বাঁশখালীর বৈলছড়ি এলাকার মৃত কাজী আজিম আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি নগরের খুলশী থানাধীন লালখান বাজার আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে মুফতি ইজাহারুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২৮ জুলাই মুফতি ইজাহারুল ইসলাম বরাবরে নোটিশ পাঠানো হয়। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সাত কার্যদিবস অর্থাৎ ৭ আগস্টের মধ্যে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় দুদক চট্টগ্রামের উপ সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মুফতি ইজাহারুলের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদক এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছর ২৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১২ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.মূসা বাংলানিউজকে বলেন, মুফতি ইজাহারুলকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৭ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।